Sunday 6 November 2011

telengana ba sabta

কি জানি কিভাবে বলব বা আদপেই কিছু বলতে পারব কিনা.  জ্ঞান-এর একেবারেই তৃনমূল স্তরে  দাড়িয়ে কতখানি-ই বা বলে ওঠা যায়, তা ঘিরে আমার নিজের সন্ধেহ-ই বেশি . কিছুদিন ধরেই আমার মানসিক জগতে বেশ কিছু  অপ্রাসঙ্গিক কথা  থেকে থেকেই বুর্বুড়িয়ে উঠছে . হয়ত ঘটনা গুলি মোটেই অপ্রাসঙ্গিক না কিন্তু আগেই বললাম, আমার মনোজগত-এ.     
আমার বা আমাদের মনের খোরাক হিসাবে আমরা  এইসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও এরা যেন এক রকম জোর করেই ঢুকে পড়তে  চাইছে  মনের   অন্দরমহলে , এও তো একরকমের চরম অশালীনতা ,একরকমের বলাত্কার. জানতে না চাইলেও আমরা ঠিক-ই জেনে যাচ্ছি পেট্রল-এর দাম বাড়ছে, হাসপাতালে একের পর এক বাচ্চা মারা যাচ্ছে, আন্না হাজারে কবে মৌনব্রতি  হচ্ছেন আবার কবে মুখ খুলছেন. আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই এটাই না মূলকথা ? এই ভালো থাকার জন্যই একদল মানুষ দিনরাত ভাংচুর করে যাচ্ছে তেলেঙ্গানা তেও . বেশকিছু ক্ষমতালোভী  মানুষ একটা অঞ্চলকে নিজেদের করে পেতে চাইছে, আর একদল ক্ষমতাশালী মানুষ নিজেদের হাত থেকে ক্ষমতা বেরিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করছে . কিছু না বুঝেও যেকোনো সমস্যা তেই এই রকম একটা নিয়ম একটু  এধার ওধার করে দিব্যি বসিয়ে দেওয়া যায়. আমরা কি অহেতুক এই ঝামেলা গুলোকে চলতে দিচ্ছি না? কেন এরকম হচ্ছে না, ওখানে যারা আছে বা থাকবে তাদের-কেই নির্ধারণ করতে দেওয়া হোক তারা কোথায় থাকবে আর কিভাবেই বা থাকবে . কোনো পার্টির ব্যানার-এর নিচে না দাড়িয়েই একটা গননির্বাচন  কেন করা হচ্ছে না কারা তেলেঙ্গানা চায় আর কারা চায় না . ওখানে তারা আলাদা থাকবে কি একসাথে থাকবে তা নিশ্চই উত্তরপ্রদেশ এর কেউ ঠিক করে দেবেনা. এটা বোঝা তো শক্ত নই যে যেখানেই থাকুক আলাদা আলাদা  ভাবে  ভালো থাকলেই সবাই ভালো থাকবে. সে পথে তো আমরা যাচ্ছি-ই না উপরন্তু এই বিষয় গুলো ঘিরে একটা ভাগার তৈরী করে শকুনদের আমন্ত্রণ করছি.